Bangla Blogspot
ইসলাম ধর্মে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি দরুদ পাঠ করা একটি মহৎ ইবাদত। এটি এমন একটি আমল, যার মাধ্যমে আল্লাহর বিশেষ রহমত লাভ করা যায়। মুসলিম উম্মাহর হৃদয়ে নবীজির প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের অন্যতম উপায় হলো দরুদ শরীফ পাঠ। এই প্রসঙ্গে সর্বাধিক ব্যবহৃত এবং শ্রদ্ধার সাথে উচ্চারিত দরুদ হলো আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়েদেনা মোহাম্মদ।
এই দরুদটি পাঠ করার অর্থ দাঁড়ায়— “হে আল্লাহ! আমাদের নেতা মুহাম্মদ (সা.)-এর উপর শান্তি ও বরকত নাজিল করুন।” এটি একটি সংক্ষিপ্ত, অথচ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ দোয়া। কোরআন শরীফে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতারা নবীর উপর দরুদ পাঠ করেন। হে ঈমানদারগণ! তোমরাও তাঁর উপর দরুদ ও সালাম প্রেরণ করো” (সূরা আহযাব: ৫৬)। এই আয়াতই দরুদ পাঠের মূল উৎস ও উৎসাহ।
দরুদ শরীফ পাঠের মাধ্যমে যেমন আল্লাহর নৈকট্য অর্জিত হয়, তেমনি জীবনের দুঃখ-কষ্ট, দুশ্চিন্তা ও বিপদ থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি একবার দরুদ পাঠ করে, আল্লাহ তাকে দশটি রহমত দান করেন, দশটি পাপ মাফ করে দেন এবং দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি করেন।
দরুদ শরীফের অনেক ধরন থাকলেও "আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়েদেনা মোহাম্মদ" বিশেষভাবে প্রিয় ও গ্রহণযোগ্য। নামাজের শেষে তাশাহহুদে এই দরুদ পাঠ করা সুন্নত, পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনের যেকোনো সময় এটি পাঠ করা উত্তম ও ফজিলতপূর্ণ।
আজকের অস্থির সময়ে আমরা যখন নানান দুশ্চিন্তায় আক্রান্ত, তখন দরুদ শরীফ হতে পারে এক আত্মিক প্রশান্তি ও আধ্যাত্মিক শক্তির উৎস। যারা নিয়মিত দরুদ পাঠ করেন, তারা হৃদয়ে এক প্রশান্তি অনুভব করেন এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির পথেও এগিয়ে যান।
তাই আমাদের উচিত প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে এই দরুদ পড়া এবং অন্যকেও উৎসাহিত করা, যেন আমাদের জীবনে নবীজির ভালোবাসা আরও গভীরভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।